তপন মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। পেশায় তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন।
রোববার (০১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুষ্টিয়ার মিরপুর নামক স্থানে মারা যান তিনি।
এর আগে গত শনিবার ( ২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বুড়িপোতা গ্রামের মাঠের মধ্যে অটো থেকে নামিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়।
আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
তপনের প্রেমিকা রোমানা জানায়, তার সঙ্গে একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে তপনের প্রেম চলছিল। গত শনিবার রাতে তাদের পালিয়ে বিয়ে করার কথা ছিল। কথামতো তপন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার এক বন্ধুকে নিয়ে বুড়িপোতা যায়। এসময় রোমানা বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে সম্পর্কে তার এক মামা স্থানীয় চৌকিদার আনোয়ার হোসেন তাকে দেখে ফেলেন। তখন আনোয়ারসহ গ্রামের বেশ কয়েকজন গাছের ডাল দিয়ে তপনকে মেরে আহত করেন।
সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অর্জুন কুমার সরকার জানান, রোববার বিকেলে ৯৯৯ থেকে ফোন করা হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে যাতে অভিযুক্তরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
আরএ