রোববার (১ মার্চ) বিকেলে এক অফিস আদেশে তাকে চাকরিচ্যূত করা হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বাংলানিউজকে জানান, মহিবুল হোসনের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ, দায়িত্বে অবহেলা ও মাদক সেবনের অভিযোগ উঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে চাকরিচ্যূত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরূদ্ধে মোট নয়টি শাস্তি চলমান। চাকরি জীবনে তিনি বহুবার বরখাস্ত হয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মহিবুল হাসানের বিরুদ্ধে কাজের পরিবেশ নষ্ট, মাদক সেবন এবং অসংখ্যবার যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
গত ২৯ জানুয়ারি মহিবুল হোসেন ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ইন্সপেক্টর অব টিটিইজ আব্দুল মাবুদকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। এতে টিটিইজ আব্দুল মাবুদ তার বিরূদ্ধে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সর্বশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি চিফ মেডিক্যাল অফিসার (পশ্চিম) বেগম শামীম আরা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সীমান্ত ট্রেনে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দুর্ব্যবহার করেন।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য, দায়িত্ব পালনে অসচেতনতা, উদাসীনতা ও অবহেলা প্রদর্শনের দায়ে মহিবুল হোসেনকে দায়ী করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এসএস/এবি