সোমবার (২ মার্চ) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’ নাটক সংগঠনের উদ্যোগে দ্বিতীয়দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের দাবিগুলোর অন্যতম হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সাংবিধানিক স্বীকৃতি। জয় বাংলাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র দেওয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব, ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন। পৃথক সঞ্চয়পত্রের স্কিম চালু করা। সরকারের বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা। স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া এবং সহজশর্তে ঋণ দেওয়া।
অবিলম্বে বিদ্যমান সব তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম অপসারণ করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ও চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় কমিশন গঠন।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো চিহ্নিতকরণ ও সংরক্ষণ, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ সহায়ক মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া। একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি, যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের তালিকা প্রণয়ন করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়াও তাদের উত্তরসূরিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা না নেওয়া।
কর্মসূচি থেকে ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পর্যায়ক্রমে রাজপথে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
আরকেআর/ওএইচ/