ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কৃষকদের সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের সুযোগ এলো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
কৃষকদের সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের সুযোগ এলো

ঢাকা: কৃষকদের সমবায় ভিত্তিতে ফসল উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের সুযোগ রেখে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (০২ মার্চ) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই নীতিতে সমবায়ভিত্তিক চাষ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘অনেক ইক্যুইপমেন্ট আছে, যেগুলোর দাম ২০/২২ লাখ টাকা। কয়েকজন কৃষক তিন মাসের জন্য একটা কিনলে তাদের জন্য লাভজনক হয় না। সেজন্য সমবায়ভিত্তিতে সবাই মিলে যদি এটা কেনা যায়, তাহলে সবাই সেটা ব্যবহার করতে পারবে। ওইভাবে বাজারজাতকরণটাও যদি সমবায়ভিত্তিতে হয়, বিশেষ করে চাষের বিষয়টি আজকে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। ’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ধরুন ১০০ একর জায়গা নেওয়া হল, এরমধ্যে সবার জমি থাকল। সবাই যদি একই টাইপের ফসলে যায়, তাহলে কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে চাষ করে, একসঙ্গে ফসল কাটা হবে, একসঙ্গে তুলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মার্কেটিংয়ে সুবিধা হবে।

‘যারা পণ্য কেনে তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসলে একসঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে। তখন জমির পরিমাণ অনুযায়ী ব্যয় ও লাভ বিশ্লেষণ করে প্রত্যেক কৃষককে (টাকা) দিয়ে দেওয়া যাবে। ’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সমবায়ভিত্তিক চাষে প্রোডাকটিভিটি (উৎপাদনশীলতা) বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে একটি পাইলট প্রজেক্টের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এটায় দুইগুণ, আড়াইগুণ পর্যন্ত বেশি লাভ হয়।

তিনি বলেন, ছোট জায়গায় হঠাৎ করে ভিন্ন একটি ফসল বাজারজাতকরণে খুব অসুবিধা হয়। এক সঙ্গে বড় একটি জায়গায় সমবায়ভিত্তিতে চাষ থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নীতিমালায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সব  শ্রেণির কৃষক ও উদ্যোক্তাদের চাহিদাভিত্তিক প্রযুক্তি ও তথ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘাত সহনশীল, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ, টেকসই ও পুষ্টিসমৃদ্ধ লাভজনক ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করা।

ফসল খাতের মূল প্রতিবন্ধকতা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, কৃষি সম্প্রসারণের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য, কৌশলগত সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, কৃষি সম্প্রসারণ সেবার বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং পরিকল্পনাগুলো নীতিমালায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে এ নীতিটি বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষকের চাহিদা অনুয়ায়ী সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন ও উপাদনকে আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এমআইএইচ/এমএ    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।