মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও নিজেদের বসতবাড়িতেও ভগবানের পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
দোল উৎসব উপলক্ষে বরিশালে সব থেকে বড় আয়োজন ছিলো নগরের শীতলা খোলা এলাকায়।
সেখানে কয়েকশ তরুণ তরুণী অংশগ্রহণ করেন দোল উৎসবে। রঙ খেলার পাশাপাশি ডিজে’রও আয়োজন করা হয়।
আয়োজক স্বাগতা দাস জানান, প্রতি বছরই দোল উৎসবে শীতলাখোলা মোড়ে নানা আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রঙ খেলায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে উঠেছেন।
এদিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষার্থীরাও দোল উৎসব পালন করে।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এমএস/এবি