মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরোয়ার হোসেনের বোন সাদিয়া ইসলাম নুপুর (১৫ সপ্তাহের গর্ভবতী) গত রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলমের পপুলার চেম্বারে যান।
কিন্তু মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেলে অবস্থা খারাপ হলে তাকে পুনরায় ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হলে সিরিয়াল না পাওয়ায় ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাচ্ছিল না। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থা হলে রোগীর স্বজনদের তৎপরতায় ডাক্তার দেখে হিমোগ্লোবিন কমে গেছে উল্লেখ করে ইমার্জেন্সীতে নিতে বলেন। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসক না থাকায় রোগীর মৃত্যু ঘটে।
রোগীর ভাই সরোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর হিমোগ্লোবিন কমে গেছে সেটা বলার পর রোগীকে ইমার্জেন্সীতে নেওয়ার কথা বলে ডাক্তার তখনো অন্য রোগী দেখছিলেন। যখন ইমার্জেন্সীতে আনা হল তখন আমাদের বলছে অক্সিজেন মাস্ক দেন। তাদের কিছুই নাই। ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডের সামনেই মারা গেছে। চিকিৎসকদের অজ্ঞতা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা দুই কারণে আমার বোন মারা গেছে।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, রাত ৮টার দিকে পপুলারে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার স্বজনরা হট্টগোল করেছে বলে জানতে পারেন তিনি। স্বজনদের দাবি হচ্ছে, চিকিৎসকদের ভুলের কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এরকম সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে যাই, এখনো ঘটনাস্থলে আছি।
তিনি আরো জানান, মৃত নারীর স্বজনদের বারবার করে অনুরোধ করেছি আপনারা মামলা দেন, কিন্তু উনারা মামলা দিতে ইচ্ছুক নন। মামলা দিলেই আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিব।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এসকেবি/এজেডএস/এমএইচএম