রোববার (০৮ মার্চ) বাংলাদেশে প্রথমবার তিনজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় শ্যামলী, গাবতলী, মহাখালী, বনানী, মিরপুর ১০ গোল চত্বর, মিরপুর ১১, কালশী রোড, বিশ্ব রোড মোড়, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও-তালতলা, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার এসব বাসস্ট্যান্ডে মাস্ক পরা অবস্থায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রীদের ওঠা-নামা করতে দেখা যায়।
মিরপুরের বাসযাত্রী এক ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ তমাল বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা। আমরা কেউই বলতে পারি না কার মধ্যে কোন রোগের ভাইরাস আছে। আমি মনে করি, একটু সচেতন হলেই এ রোগ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস বাসের চালক মো. আমিনুল বলেন, শুনেছি কোন এক ভাইরাস নাকি দেশে আসছে। ওই ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরছি। এখন অনেক যাত্রী বাসে ওঠে মাস্ক পরে। আগে মাস্ক পরতে দেখতাম না মানুষজনকে। এ ভাইরাসের কারণে মাস্ক পরছে।
শ্যামলীর বাসযাত্রী রাজু আহমেদ বলেন, আমি মাস্ক সবসময় পরি না। ঢাকা শহরের সড়কগুলোতে প্রচুর ধুলাবালি। মূলত ধুলাবালি থেকেই বাঁচতে মাস্ক পরি। মাস্ক পরে করোনা ভাইরাস ঠেকানো সম্ভব নয়।
মাস্ক বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, মাস্ক বেচা-কেনা তেমন নাই। বাজারে মাস্ক কম পাইতাছি। এখন মাস্কের দাম বেশি। আগে যেই মাস্ক ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করতাম এখন বিক্রি করছি ২০ টাকায়। এছাড়া যে মাস্ক ৪০ টাকা বিক্রি করতাম এখন আমাকে কিনতে হয় ৩৩-৩৫ টাকা করে। বিক্রি করি ৬০ টাকায়। মনে হয় সামনে মাস্কের দাম আরও বাড়বে।
তেজগাঁও থানার কনেস্টবল মো. আকবর বলেন, করোনা ভারাস থেকে বাঁচতে নয় ধুলাবালি থেকে বাঁচতেই মাস্ক পরেছি। আমাদের ডিউটি বেশিরভাগ সময় রাস্তায় থাকে। রাস্তায় তো অনেক ধুলাবালি। আর আমি মাস্ক পরি করোনা ভাইরাস আসার আগে থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এমএমআই/এফএম