এতে টেকসই উন্নয়নের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সমঝোতা স্মারকটিতে সইয়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান দু’টি এমন একটি বিষয়ে কাজ করতে যাচ্ছে, ইউনিলিভার যেটাতে সারাবিশ্বেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।
লক্ষ্য তিনটি: স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি করা, পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং লাখো মানুষের জীবিকার সুযোগ তৈরি করা। পরিবেশগত ভূমিকা থেকে আমাদের প্রবৃদ্ধিকে আলাদা করার পাশাপাশি সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের জন্য যাত্রা শুরু করেছে ‘ইউনিলিভার টেকসই জীবনমান পরিকল্পনা’।
এ চুক্তির ফলে ঢাবির আইবিএর শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা বিভিন্ন লাইভ প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যেখানে তারা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন। এছাড়া ‘টেকসই জীবনমান পরিকল্পনা’র প্রধান তিনটি লক্ষ্য অর্জনে ইউনিলিভার বিশ্বব্যাপী যেসব টেকসই কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেগুলোতেও তারা নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাবেন।
নানান কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও সংস্কৃতি বিকাশ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সুযোগ দেওয়ার কারণে টানা আট বছর ধরে সারা বাংলাদেশের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কাছে ‘এমপ্লয়ার অব চয়েজ’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে আসছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।
শিক্ষা ও গবেষণার মতো একাডেমিক ধারায় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্পার্কস ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম, ইউনিলিভার লিডারশিপ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, বিজমায়েস্ত্রোস, ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম ইত্যাদি নানান কার্যক্রম পরিচালনা থেকে শুরু করে অতিথি শিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পর্যন্ত নিয়ে থাকে ইউনিলিভার।
বছরের পর বছর ধরে ইউনিলিভার বাংলাদেশের সেরা কিছু প্রতিভা সরবরাহ করে আসছে ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান দু’টি ভবিষ্যতেও দেশের প্রতিভা বিকাশে অবদান রেখে যাবে। ফলে ইউনিলিভার বাংলাদেশ যেমন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা দক্ষতা এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপকৃত হবেন, ঠিক তেমনিভাবে শিক্ষার্থীরাও বাজার এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে রদবদলকারী ইউনিলিভারের বৈশ্বিক ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে শেখার সুযোগ পাবেন।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর সাক্ষি হান্ডা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকটিতে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের হোমকেয়ার অ্যান্ড ফুড অ্যান্ড রিফ্রেশমেন্ট ডিরেক্টর তানজিম ফেরদৌস আলম, আইবিএর এমবিএ প্রোগ্রামের অধ্যাপক ও সমন্বয়ক ড. মো. মোহিউদ্দিনসহ ইউনিলিভার এবং আইবিএর ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এএটি