বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু উৎপাদন বৃদ্ধিতে উন্নত চাষ, সেচ, বীজের ব্যবহারে পদক্ষেপ নেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে খাদ্যশস্যর উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এছাড়া শাক-সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় এবং মাছ উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
‘স্বাধীনতার পরে ৪৫ বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ আবাদি ভূমি কমে যাওয়া সত্ত্বেও ধানসহ খাদ্যশস্য উৎপাদন ১৯৭২ সালের ১ দশমিক ১০ কোটি মেট্রিক টন থেকে বেড়ে প্রায় ৪ কোটি ৩০লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। ’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জলবায়ুর সঙ্গে জীববৈচিত্র্যে রয়েছে অস্তিত্বের সম্পর্ক। দেশের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত অনেক নদীর গতিপথের পরিবর্তন হচ্ছে। কোথাও নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। পানিসেচ বিঘ্নিত হচ্ছে। অনাবৃষ্টি ও খরার প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষির উৎপাদন।
'বাংলাদেশের শস্যখাতে অভিযোজন কর্মসূচি মোটামুটিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। খরা, বন্যা, তাপ, লবণাক্ত জলমগ্নতা ও পরিবেশ সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষিকে আধুনিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করার কাজ করছে সরকার। '
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পংকজ কুমার মজুমদার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান এবং শুরুতে পাওয়ার পয়েন্টে অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. ইয়ামিন কবির।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এমআরএম/এমএ