মুজিববর্ষের এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সরকারের এত পরিকল্পনায় মুজিববর্ষে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে।
বঙ্গবন্ধু সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। মুজিববর্ষে তার আদর্শকে সামনে রেখে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
তারা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হলে দুর্নীতিমুক্ত হবে আগামীর বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হলেও সমাজ থেকে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। দুর্নীতি করাল গ্রাসে উন্নয়ন ঢেকে যাচ্ছে। তাই সবার আগে মুজিববর্ষে আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তার যোগ্য কন্যা সেটি বাস্তবায়ন করছেন। তবে কিছু সুবিধাভোগীদের কারণে দেশে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। এ ধরনের দুর্নীতি চলমান থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি।
শুধু তাই নয় যারা দুর্নীতি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনারও দাবি করেন রণাঙ্গনের মুজিব বাহিনীর এই মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও বলেন, এই বছরটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে সেদিন হত্যা করা না হলে হয়তো তাকে নিয়েই আমরা একসঙ্গে মুজিববর্ষ উদযাপন করতাম বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে সেদিন মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। দেশ স্বাধীন করেছি। এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই মুজিববর্ষে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করবো বলে জানালেন ৭১ এ বাতেন বাহিনীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা রতন মিয়া।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি পথভ্রষ্ট জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন। তার দেখানো পথেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। মুজিববর্ষে তার স্বপ্ন পুরোটাই বাস্তবায়ন হোক এটাই আমাদের চাওয়া বলেও যোগ করেন তিনি।
স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে আগামী প্রজন্মর কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরারও আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে সমাজে হতদরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে সরকার, মুজিববর্ষে আমাদের এমনটাই প্রত্যাশা বলে জানালেন বিএইচটি গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় সব মানুষের সমধিকার নিশ্চিতে কাজ করেছেন। পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ভেবেছেন। তাই সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও দুর্নীতিমুক্ত বছর হোক মুজিববর্ষ।
বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, বেকাররা কাজ পাক, বাংলার মানুষ সুখি হোক, হেসে খেলে বেড়াক এমনটাই চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার চাওয়া পথেই আমাদের হাঁটতে হবে। আর এক্ষেত্রে মুজিববর্ষ হচ্ছে উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছেন আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মমতাজ বেগম রুমা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা, আদর্শ, ন্যায়নীতি ও তার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ গড়বো আমরা এই হোক মুজিববর্ষের অঙ্গীকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এসএমএকে/এএটি