মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ ফটকের সামনে স্থাপিত এ ম্যুরাল দু’টির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ম্যুরাল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক এটি নির্মাণ করেন।
প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ম্যুরাল দুটি তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির পিতার আদর্শ সঞ্চারিত হবে বলে আশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৯ ফুট উচ্চতা ও ১৮ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ৭ মার্চের ভাষণ সম্বলিত ‘মুক্তির আহ্বান’ ম্যুরালটি দাঁড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির মুক্তির ইতিহাস নিয়ে। যা বর্তমান ও তার পরবর্তী প্রজন্মকে দেশপ্রেমে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
অপরদিকে সাড়ে ১০ ফুট উচ্চতা ও ৭ ফুট প্রস্থ ‘বিশিষ্ট ‘শ্বাশত মুজিব’ ম্যুরালটিও দাঁড়িয়ে আছে বাঙালি জীবনের আলোর দিশারী হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দুটি ম্যুরাল হওয়ায় প্রগতিশীলতা চর্চা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন অনেকে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমস্ত রসদই ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে বিদ্যমান। তাই এর নামকরণ করি মুক্তির আহবান। অপরদিকে, একশত বছর আগে আমাদের পূর্ব পুরুষরা যে মুজিবকে দেখেছিলেন বর্তমানে আমরা ঠিক একই মুজিবকে দেখেছি, তাই অপর মুর্যালটির নাম দিয়েছি শ্বাশত মুজিব। ম্যুরাল দু’টি সবাইকে মুজিবীয় চেতনায় স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করি। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আশকারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে ম্যুরাল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ৭ মার্চের ইতিহাস দৃশ্যমানভাবে শেখানোর জন্য হলের সামনে এই ম্যুরালটি প্রতিষ্ঠিত করা হলো। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ করার উপায় হিসেবে গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আরএ