জানা যায়, হাসপাতালের ডেলিভারি কক্ষ (পোস্ট অপারেটিভ ও অপারেশন কক্ষ) তালাবদ্ধ করে চলে যায় সিকিউরিটি গার্ড শাহজাহান। ফলে সেবিকারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের সামনে ভ্যানের উপর ওই অন্তঃসত্ত্বার সন্তান প্রসব করান।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিকিউরিটি গার্ড শাহজাহানকে কারণ দর্শানো হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকেলে প্রসব বেদনা শুরু হলে ভ্যানে করে শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. শাজাহানের স্ত্রী এমিলি বেগমকে (২৫) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। তখন গাইনি ওয়ার্ড তালাবদ্ধ ছিল। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যায় নেওয়া যায়নি এমিলিকে। এ অবস্থায় হাসপাতাল ভবনের কোনায় ভ্যানের ওপর সন্তান প্রসব করানো হয়। তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এরপর এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘করোনা রোগী’ ভর্তি আছে শুনে তাৎক্ষণিক ওই মাকে নিয়ে তার স্বজনেরা ফলোআপ চিকিৎসা ছাড়াই চলে যান।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শুনেছি একজন অন্তঃসত্ত্বা হাসপাতালে এসেছিলেন। তখন ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শাহজাহান তালা খুলে না দেওয়ায় সেবিকারা দ্বিতীয় ঢাল সিঁড়িতে ভ্যানের উপর তার সন্তান প্রসব করান। এ ব্যাপারে শাহজাহানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভারত থেকে আসা এক রোগী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছেন। ফলে দ্বিতীয় তলায় কোনো রোগী ভর্তি থাকছেন না। তৃতীয় তলায় রোগী আছেন। তবে কেউ কেউ করোনা আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে সবসময় সতর্ক রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আরএ