এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৯ জন, মুজিবনগরে ৩২ ও গাংনী উপজেলায় ৬৬ জন রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ৫ জন বের হয়েছেন। এদের মধ্যে গাংনীতে ৩ জন ও সদর ও মুজিবনগরে ১ জন করে।
এসব প্রবাসীরা সোদী আরব, ইতালি, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ভারত, চীন, মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত জেলাতে ২০ বেডের আইসোলেসন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ১০, গাংনী ও মুজিবনগর হাসপাতালে ৫টি করে বেড।
তবে জেলাতে প্রায় ১৩শ লোক বিভিন্ন দেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ফিরে এসেছেন বলে জানান তিনি।
গাংনী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. দেবাসিশ বাংলানিউজকে জানান, বিদেশ থেকে ফেরত আসাদের শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কিনা এটা চেক করার মত কোনো মেশিন আমাদের কাছে নেই। এছাড়া ডাক্তারদের জন্য কোনো পোশাক নেই। আমরা এখন পর্যন্ত সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।
এদিকে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে জেলার অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে দাম বাড়িয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাসের বাইরে চলে যাচ্ছে দাম।
এদিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনির নির্দেশে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান, মুজিবনগরের ইউএনও উসমান গনি, সদর উপজেলার ইউএনও মাসুদুল আলমসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ১০ জনকে অর্থদণ্ড করেছেন।
মেহেরপুর-২ ( গাংনী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজেই বাজার মনিটারিং করেছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন। এছাড়া গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এম এ খালেক কোরনা ভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতা মূলক পোস্টার বিতরণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
আরএ