এ সময় তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুইজন দমকলকর্মী ও একজন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন কম-বেশি দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিভেন্সের বাঘা উপজেলা স্টেশনের ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, এমরান হোসেনের বাড়ির রাস্তার পাশের ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে জ্বালানি তেলের দোকান করেন মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। ওই দোকানে ডিজেল, কেরোসিন ও পেট্রোল ছিল। বেলা ১১টার দিকে দোকানে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বাঘা ও চারঘাটের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন কম-বেশি দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধরা আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন। এদের মধ্যে দুইজন দমকলকর্মী বলে জানান তিনি।
মোশারফ হোসেন বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ও কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে জানা যাবে। তবে আগুনে ওই দোকানসহ পুরো বাড়িটি পুড়ে গেছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, তাদের হাসপাতালে প্রায় ৩০ জন চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়। আর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১১ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রামেক হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবাই আশঙ্কামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এসএস/আরবি/