নিহত মুক্তার বড় বোন মোসা. সাবিনা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি শরীয়তপুরের সখীপুর উপজেলার সরদারকান্দি গ্রামে। তার স্বামীর নাম যুবায়ের।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছেলে সাব্বিরকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। সদরঘাট যাওয়ার সময় নাট্যমঞ্চের পাশে পেছন থেকে একটি বাস তাদের বহনকারী রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে রাস্তায় পড়ে গেলে বাসটি মুক্তার উপর দিয়ে উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ছেলেসহ তিনি পড়ে গেলেও তেমন আঘাত পাননি।
গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘাতক বাসটির চালক-হেলপারসহ বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে আল আমিনের বন্ধু সুমন জানান, সুমনের বাবার নাম বাবুল হোসেন। থাকেন মুগদা এলাকায়। গাড়ির হেলপারের কাজ করতেন সুমন। দুপুর ১২টার দিকে মুগদা ট্রাকস্ট্যান্ডে গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়ার সময় চাকা বিস্ফোরণ হয়। এ সময় সেখান থেকে একটি লোহার অংশ এসে তার মুখে লাগে। এতে তার মুখ থেতলে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এজেডএস/আরবি/