বুধবার (২৫ মার্চ) ভোরে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
মরহুমের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে সিলেটের হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিন বিকেলে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মরদেহ ঢাকা থেকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে।
স্কলার্স হোমের সংশ্লিষ্টরা জানান, ৩২ বছরের সামরিক জীবনের ইতি টেনে ১৯৯৯ সালে অবসরে যান এ সামরিক কর্মকর্তা। তার মৃত্যুতে সিলেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুমের জানাজা বুধবার বাদ যোহর নগরীর শাহী ঈদগাহ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
স্কলার্স হোমের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, জুবায়ের সিদ্দিকীকে নিয়ে ৩০ বছর আগে মাত্র ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কলার্স হোমের যাত্রা শুরু করি আমরা। তিনি খুবই নিষ্টাবান মানুষ ছিলেন। তার প্রচেষ্টায় স্কলার্স হোম শিক্ষাক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে। হৃদরোগের পাশাপাশি তিনি আত্রাইটিস রোগে ভোগছিলেন।
তিনি বলেন, জুবায়ের সিদ্দিকী ছিলেন আপসহীন, সৎ, নির্ভিক একজন মানুষ। তিনি স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করেছেন। কোনো দলের রাজনীতিও করেননি। তার চলে যাওয়া আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে খুবই বড় ক্ষতি হয়ে গেলো, যেটা পূরণ হওয়ার নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এনইউ/ওএইচ/