ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ, মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২১
পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ, মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী

বরিশাল: বরিশালে পুলিশি নির্যাতনে রেজাউল করিম রেজার মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় তার মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি নগর গোয়েন্দা (ডিবি) শাখা পুলিশের এসআই মহিউদ্দিন মাহির বাসভবন লক্ষ করে ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

রোববার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরের সাগরদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রেজাউল করিম রেজার মরদেহ নিয়ে বাড়িতে আসেন স্বজনরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রেজার মৃত্যুর ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যের বিচার দাবি করে তার মরদেহ নিয়ে সাগরদী মাদ্রাসা সংলগ্ন মহাসড়কে যান। তারা সড়কটি অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে বরিশাল নগরে চলাচলরত ছোট ছোট যানবাহন ছাড়াও দুরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬টার পর বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভকারীরা নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ও সাগরদী এলাকার শেরে বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন মাহির বাসার সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা মহিউদ্দিন মাহির বাসভবন লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে তার বাড়ির জানালার ১০টি মতো গ্লাস ভেঙ্গে যায়।

স্থানীয়রা জানান, অন্যায়ভাবে রেজাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় মহিউদ্দিন মাহি। এরআগেও তিনি সাগরদী এলাকায় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন। এসব ক্ষোভ থেকেই এখন সবাই মিলে এসআই মহিউদ্দিনের বিচারের দাবি জানানো হচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রেজার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তারা মরদেহ নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। এতে করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে আর ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, যে অভিযোগ উঠেছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র রেজাউল করিম রেজাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর পর নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মহিউদ্দিন মাহির বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই মহিউদ্দিন মাহিসহ নির্যাতনকারী সব পুলিশ সদস্যর বিচার দাবি করে আসছিলেন পরিবার ও স্বজনরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।