ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি বিট হবে মানুষের সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
প্রতিটি বিট হবে মানুষের সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র

বরিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম বলেছেন, আগে মানুষকে থানায় গিয়ে পুলিশি সেবা নিতে হতো। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের থানায় যেতে কষ্ট হয়।

তাই প্রত্যেকটি থানাকে অনেকগুলো বিটে বিভক্ত করে প্রান্তিক মানুষের সেবা দিতে চাই। প্রতিটি বিট হবে মানুষের সমস্যা সমাধানের কেন্দ্র।

তিনি বলেন, বিট কার্যালয়ের মাধ্যমে আপনারা সব ধরনের সেবা পাবেন। যেকোনো সমস্যা বিট অফিসারকে জানাবেন। বিট অফিসার সে সব সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন। নারীদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি থানায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নারীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন। আইজিপি স্যারের নির্দেশনায় পুলিশ কমিশনারের নের্তৃত্বে কাউনিয়া থানা এলাকাকে আমরা একটি নিরাপদ থানা হিসেবে গড়তে চাই।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টয় বিসিসি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড সেকশন ১১ ও ১২ নম্বর বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাইরুল আলম বলেন, সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপনাদের পুলিশি নির্যাতনমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত নির্ভেজাল সেবা নিশ্চিত করতে চাই।

‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে নিশ্চিত করতে আপনারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে আরও তরান্বিত করতে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নের্তৃত্বে আমরা একটি আধুনিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। ’

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, বর্তমানে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় টিকা না আসা পর্যন্ত শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করলে আমরা মহামারি করোনার প্রকোপ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করতে পারবো। আমরা কাউনিয়া এলাকাকে ইভটিজিংমুক্ত, মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত থানা গড়তে চাই।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. ফজলুল করিম বলেন, দেশ ডিজিটালাইজড হচ্ছে সেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সেবাও ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এখন মানুষ ঘরে বসেই তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে। কষ্ট করে আর থানায় যেতে হবে না। স্মাট ফোনের অপব্যবহার রোধে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে অংশগ্রহণ করা যাবে না। যেখানে সেখানে লাইক-কমেন্ট করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না। করোনাকালে অবশ্যই আমাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। টিকা না আসা পর্যন্ত মাস্কই আমাদের টিকা।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিমুল করিম বলেন, বড় কোনো জায়গাকে ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে দেওয়াকেই বিট বলে। সমাজের ছোট খাট সমস্যা সমাধানের জন্য এখন আর থানায় যেতে হবে না। বিট অফিসারের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধান করা যাবে। আপনার সব ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য বিট অফিসারকে জানান। প্রতিটি শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ শিশুদের শাসন করে সুপথে পরিচালনা করার জন্য পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। তাই পরিবারের মাধ্যমেই শিশুদের সুরক্ষা দিতে হবে।

কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. লোকমান হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিট অফিসার নুসরাত জাহান, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নিগার সুলতানা হনুফা, সাবেক কাউন্সিলর আবদুল খালেক কায়সার বিশ্বাস, মানবাধিকারকর্মী হাসিনা বেগম নীলা, প্রফেসর বিমল চক্রবর্তী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।