ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কাঠমান্ডুতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
কাঠমান্ডুতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ গভীর শ্রদ্ধা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করেছে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস।  

বুধবার ( ১৭ মার্চ)  দূতাবাস প্রাঙ্গণে  নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবস উদযাপন করা হয়৷

কাঠমান্ডুর দূতাবাস জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার  মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়।

দূতাবাস ছাড়াও সার্ক সচিবালয়, বাংলাদেশ বিমানের প্রতিনিধিরা এবং কাঠমান্ডুতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের প্রথমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য, গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মূলত শিশুদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এই পর্বে  এই দিবস উপলক্ষে  রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী  উপস্থিত শিশুরা পাঠ করে শোনায়। এরপরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আত্মত্যাগ নিয়ে তৈরি কয়েকটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। দূতাবাস জাতির জনকের জীবন, দর্শন ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে ।

 উপস্থিত শিশুরা ' বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ'- শীর্ষক একটি চিত্রকলা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর স্মরনে কবিতা আবৃত্তি এবং গানের সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে । রাষ্ট্রদূত চিত্রকলা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করেন ।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা এবং স্নেহ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন । তিনি বলেন জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের ফলে আজ বাংলাদেশের শিশুরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভ করেছে। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার জাতির পিতার জন্মশতবর্ষকে উদযাপনের জন্য ২০২০-২০২১ সালকে 'মুজিববর্ষ' হিসাবে ঘোষণা করেছে ।

তিনি উল্লেখ করেন, যবাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এবং মহামারী সত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পক্ষে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: আরএ/মার্চ ০০১৮ ঘণ্টা,
টিআর/আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।