যশোর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিনের মাহিন্দ্রক্ষণে অসুস্থ হয়ে নিজ বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য।
বর্ষিয়ান এই কেন্দ্রীয় নেতার অসুস্থতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা থেকে দূরে সরাতে পারেনি।
পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের পাড়ালা গ্রামে ১৯৪০ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সুধীর কুমার ভট্টাচার্য ও মা ঊষা রাণী ভট্টাচার্য।
শিক্ষাজীবনে ১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ পাস করেন।
কলেজ জীবনে তিনি ছাত্র সংসদের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে মণিরামপুরের দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের পাড়ালা ওয়ার্ড মেম্বর নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে মশিয়াটি ও গোপালপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। কেশবপুর ডিগ্রি কলেজে পার্ট টাইম শিক্ষকতা এবং মণিরামপুর ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা বাস্তবায়ন করার জন্য যশোরের গণমানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেন। ১৯৬৭ সালে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হলে তিনি সুবোধ কুমার মিত্রর সঙ্গে কেশবপুর-মণিরামপুরে ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরা পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্যকে হত্যা করার জন্য হুলিয়া জারি করেন। সে সময় তিনি তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতে গিয়ে মুজিব সরকারের শরণার্থীদের স্কুলে শিক্ষা দিতেন এবং দেশকে স্বাধীন করার জন্য ভারতে থেকে সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনৈতিক পথ চলা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই পার্লামেন্টেরিয়ান ছিলেন।
পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্যের পারিবারিক সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে শরীরে গ্লুকোজ কমে যাওয়ায় পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য অসুস্থ হন। কয়েকদিন যশোর সম্মিলিত হাসপাতাল (সিএমএইচে) চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২১
ইউজি/আরএ