ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস-২০২১ উদযাপন করেছে কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দিবসের শুরুতে সকালে বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।
বিকেলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর এ দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা পাঠ করেন। বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও অবদানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাণী পাঠের পর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় অংশ নেন সাবেক মুখ্য সচিব ও স্বনামধন্য কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর, কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়া, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স, সাবেক ছাত্রনেতা রবিউল আলম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।
সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও তার জীবনাদর্শ তুলে ধরেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব শুধু তৎকালীন সময়েই নয়, এ ধরনের নেতৃত্ব সমসাময়িক বিশ্বে এখনও বিরল। বঙ্গবন্ধুর মন ছিল হিমালয়ের মতো বিশাল এবং নেতৃত্ব দানে তার সিদ্ধান্ত ছিল সব সময় পর্বতের মতো অটল। তিনি সব সময় সাধারণ মেহনতি মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন এবং কাজ করে গেছেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুকে শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও রাষ্টনায়ক হিসেবে তাকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। তিনি সোনার বাংলা গড়ার যে প্রত্যয় মানুষের মনে জাগিয়েছেন, সে পদাংক অনুসরণ করেই তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং তার মন সব সময় দরিদ্র ও দুস্থ শিশুদের জন্য কাতর হয়ে থাকত। তিনি স্কুলে পড়ার সময় দরিদ্র শিশুদের নিজের জিনিস দিয়ে সাহায্য করতেন বলে অনেক বক্তা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শুরু থেকেই বুঝেছিলেন যে পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য সৃষ্টি হয়নি। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকে নেতৃত্ব দান করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন হাইকমিশনার। ভার্চ্যুয়াল এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং এর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের সব কর্মসূচি শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসই/এসআই