ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লা-নরসিংদীতে এসএমএসে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
কুমিল্লা-নরসিংদীতে এসএমএসে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ

ঢাকা: বিদ্যমান সমন জারি পদ্ধতির পাশাপাশি মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ মামলার সাক্ষীকে অবহিতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে পাইলটভিত্তিতে কুমিল্লা ও নরসিংদীতে সমন জারির এসএমএস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী।

এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।

এসময় আনিসুল হক বলেন, পাইলটভিত্তিতে গৃহীত এ কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এবং এ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে সারাদেশে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ পদ্ধতিতে আদালত কোনো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হলে তা ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে সাক্ষীদের জানানো হবে। পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতেও সমন পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমন জারি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সাক্ষীর মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়ার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ অবহিতকরণ কার্যক্রম বিচারপ্রার্থী জনগণ ও রাষ্ট্র উভয়ের সময়-খরচ কমাবে। বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি কমাবে। এছাড়া বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কমবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মামলার দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ আদালতে সময়মতো সাক্ষী হাজির হতে না পারা, সাক্ষীর অনুপস্থিতি কিংবা সাক্ষীর গরহাজির। এর পিছনে অন্যতম কারণ হলো সাক্ষীর সময়মতো সমন না পাওয়া। এর পিছনেও রয়েছে যথেষ্ঠ যুক্তি ও কারণ। সাক্ষীকে এসএমএস পাঠানোর কার্যক্রম উক্ত সব কারণ ও যুক্তি খণ্ডন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

‘এই সেবার মাধ্যমে মামলার সাক্ষীরা আদালতে বিচারাধীন মামলার ধার্য তারিখ সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সহজে জানতে পারবেন। যেহেতু ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ও মোবাইলে এই মেসেজ দেওয়া হবে তাই কেউ মেসেজ পেয়ে অস্বীকারও করতে পারবেন না। এতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সাক্ষীদের মধ্যেও একটি দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। ফলে আদালতে সময়মতো সাক্ষী উপস্থাপন ত্বরান্বিত হবে। স্বল্পসময়ে ও সহজে ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এসএমএস বার্তার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ মামলার সাক্ষীকে অবহিতকরণের বিষয়টি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ অগ্রযাত্রায় আরও একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। কোভিড লকডাউনকালে ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনা এবং এসএমএসের মাধ্যমে গৃহীত কার্যক্রমের মাধ্যমে বিচার বিভাগের যে যাত্রা শুরু হলো এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব কাজে লাগবে। একটি ছোট্ট এসএমএসের মাধ্যমে অনেক জটিলতার সমাধান হবে।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ শতাংশ এলাকায় ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হাওর, দ্বীপ, চরসহ দুর্গম অঞ্চলে এ সংযোগ পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ্, নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ মোসতাক আহমেদ, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।