যশোর: যশোরের ঝিকরগাছায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে মুস্তাকিন হোসেন সুমন (২৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমন ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে। আটক মিনা খাতুন দুই সন্তানের জননী। তিনি একই উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামের নিহান শেখের মেয়ে।
নিহতের ভাতিজা ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ১৪ মার্চ দুপুরে মিনা খাতুনের ভাই বোন ও মা তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এদিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিনা তার স্বামীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে অ্যাপালো হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতেই সুমনের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে সুমনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মিনা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় নারীরা তাকে ধরে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত সুমনের প্রতিবেশীরা জানান, সুমন ও তার মা নাসিমাকে এর আগে একাধিকবার মিনা মারপিট করেছেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, সুমন ও তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায় মারামারি হতো। গত ১৪ মার্চ দু’জনের মধ্যে মারামারিকালে লাঠির আঘাতে স্বামী সুমন আহত হন।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সুমনের স্ত্রী মিনাকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসআরএস