ঢাকা: পঁচাত্তরের পরে বিভিন্ন চক্র এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজ প্রমাণিত, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাতে নগর ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস একথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমার মতো যে কোনো ব্যক্তি ঘোষণা দিলেই স্বাধীনতা হয়ে যায় না। সে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য অধিকার লাগে, সে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য নেতৃত্ব লাগে। সুতরাং, যে কেউ বেতার কেন্দ্র থেকে কিছু পাঠ করলেই স্বাধীনতা হয়ে যায় না।
‘স্বাধীনতা অর্জনকারী প্রত্যেকটি জাতির স্বাধীনতার ঘোষণা (ডিক্লারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স) লাগে, প্রোক্লামেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স লাগে, যেটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই প্রোক্লামেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স হয়েছিল যখন ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। সেই মুজিবনগর সরকারে তার কী অবস্থান ছিল? সেই প্রোক্লামেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্সে সেই বাণীটা কেন এলো না, তিনি সেই ব্যক্তি যে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন? প্রোক্লামেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স গ্রহণের সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে আটক। কিন্তু প্রোক্লামেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্সে এসেছে, বঙ্গবন্ধু আটক হওয়ার আগেই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আলোচনা সভার আগে ডিএসসিসির আওতাধীন হাসপাতাল ও মাতৃসদনে আজ জন্মগ্রহণকারী ২২ শিশুকে নাগরিক সম্মাননা দেওয়া হয়।
এরপরে অতিথিরা ও উপস্থিত সবাই ডিএসসিসির সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার প্রদর্শনী ও বর্ণিল আতশবাজি উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
আরকেআর/এএ