ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে কম্বোডিয়া প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে কম্বোডিয়া প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন

ঢাকা: বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন। দেশটির রাজ পরিবার এবং জনগণের পক্ষে এক ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

 
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই শুভেচ্ছা বার্তা প্রকাশ করা হয়।
 
বার্তার শুরুতেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাধারণ জনগণ এবং বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে শুভ কামনা ব্যক্ত করেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়ে দেওয়া ভীতের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই দেশে বিগত এক দশকে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার জন্য আমি এই দেশের আপামর জনগণের প্রতি অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী এবং ‘ড্র্যামাটিক’ নেতা ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার নিদর্শন হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নয়ন দেশের কাতার থেকে বের হয়ে আসার যোগ্যতা তারা অর্জন করেছে।
 
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছে বলে নিজ বক্তব্যে জানান হান সেন। তিনি বলেন, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ১৯৭২ সাল থেকেই শুরু হয়। সেসময় নাইজেরিয়াতে ন্যাম সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কম্বোডিয়ার সেসময়ের রাজার দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে কম্বোডিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, যা আমাদের সম্পর্ককে নতুন দিক উন্মোচন করেছে। প্রায় তিন দশকের সম্পর্কে আমরা  দু’দেশই উভয়ের প্রতি সর্বাত্মক সাহায্য অব্যাহত রেখেছি।
 
এ সময় ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফরের বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। উভয়পক্ষের এই সফরে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানান হান সেন।
 
কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে নিজ আন্তরিকতা পুনব্যক্ত করেন হান সেন। একই সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
 
বক্তব্য পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আজকের দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসএইচএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।