ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী: ২য় দিনে অনুষ্ঠিত ‘মহাকালের তর্জনি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী: ২য় দিনে অনুষ্ঠিত ‘মহাকালের তর্জনি’ ...

ঢাকা: পলায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম হয়নি। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক দশদিনের দ্বিতীয় দিনে ‘মহাকালের তর্জনি’ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আলগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন এ মন্তব্য করেন।  

অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেন এর ধারণ করা ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ এর দ্বিতীয় দিনের এ অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মহাকালের তর্জনি’। বিকেল সোয়া ৫টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও পরিবেশন করা হয়। এর পর আবহ সংগীত পরিবেশিত হয়।

এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

‘মহাকালের তর্জনি’ থিমের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. আলগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বলেন, বাঙালির জীবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হলে ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি জানা দরকার। ৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ১৬৭টি আসন পেয়েছিল এবং পশ্চিম পাকিস্তানে পিপলস পার্টি ৮৮টি আসন পেয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানের ভোটদাতাদের শতকরা ৭৪ ভাগ ভোট দিয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অসযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই দিন তিনি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি কারণ এক তরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু ২৫ রাতে যখনই পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে তখনই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে পালিয়ে যাননি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। কারণ পালানোর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম হয়নি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ থেকে। এই দিন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত ছিলেন।

দশ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নেবেন।  

দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় বাকি দিনগুলোতে ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ তারিখের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ এবং ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এসকে/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।