ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চায় মালদ্বীপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চায় মালদ্বীপ

ঢাকা: শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই আগ্রহের কথা জানান ইব্রাহিম সলিহ।

বঙ্গভবন প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠকে বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়কে খুবই গুরুত্ব দেয়।

দুই দেশের বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে ইব্রাহিম সলিহ বলেন, আকাশ ও নৌ-পথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা পেলে বাণিজ্য-বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে। এ ব্যাপারে তার সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্য- বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে ঢাকা ও মালের মধ্যে সরাসরি নৌ যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের উভয়ের পর্যটন সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।

এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।

মালদ্বীপে বসরবাসকারী বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ায় সে দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ মালদ্বীপে বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনবল পাঠাতে প্রস্তুত আছে বলেও জানান আবদুল হামিদ।

চিকিৎসা ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, আরও বেশি মালদ্বীপের শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশ তাদের স্বাগত জানাবে।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ, তৈরি পোশাক, সিরামিকসহ বিভিন্ন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।

বিভিন্ন বিষয়ে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এই সফর দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

মালদ্বীপের ফার্স্ট ফাজনা আহমেদ এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে সন্ধ্যা সাতটায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও ফাস্টলেডি ফাজনা আহমেদ বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম তাদের অভ্যর্থনা জানান।

বঙ্গভবনের দরবার হলে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।

নৈশভোজে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।