ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী দিলেন ঘর, ইউএনও দিলেন সুপেয় পানি

খোরশেদ আলম সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী দিলেন ঘর, ইউএনও দিলেন সুপেয় পানি ছবি: বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: ‘জমি আছে, ঘর নেই প্রকল্প’র আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের পাশে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।

জানা গেছে, জমি আছে, ঘর নেই- এমন দুস্থ পরিবারগুলোকে ‘জমি আছে, ঘর নেই প্রকল্পের’ আওতায় সারা দেশে দুস্থদের একটি করে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টিনের ছাউনি দেওয়া প্রতিটি পাকা ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এক কক্ষ বিশিষ্ট এ ঘরের পাশেই দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত একটি শৌচাগার। এ প্রকল্পের আওতায় আদিতমারী উপজেলায় ৫০টি দুস্থ পরিবারকে একটি করে ঘর উপহার দেওয়া হয়। যার নির্মাণ কাজ শেষ করে সুফল ভোগিদের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘরের পাশে শৌচাগার রাখা হলেও নেই পানির কোনো ব্যবস্থা। ফলে বসবাসের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয় সুপেয় পানির অভাবে সুফলভোগীদের অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন। কিছু সুফলভোগী পাশের বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করলেও অধিকাংশরা পানি সংকটে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারপ্রাপ্ত এসব সুফলভোগীর দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদিতমারী ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন তাদের একটি করে টিউবওয়েল দিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন।

উপজেলা প্রশাসনের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বেঁচে যাওয়া অর্থ ও নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে ঘর পাওয়া প্রতিটি পরিবারকে একটি করে টিউবওয়েল দেওয়া হয়। টিউবওয়েলই শুধু নয়, প্রতিটি টিউবওয়েলের গোড়া পাকা করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। ঘরের সঙ্গে সুপেয় পানির ব্যবস্থা সারা দেশের মধ্যে এটি একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। সরকারি বরাদ্দের অতিরিক্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা পেয়ে বেশ খুশি সুফলভোগীরা।

ঘর ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুফলভোগী সারপুকুরের তালুক হরিদাস গ্রামের শিল্পী বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পলিথিনে ঘেরা ঝুঁপড়ি ঘরে থাকতাম। বৃষ্টির রাতে ঘুমও হতো না। কষ্টের এ জীবনে পাকা ঘরে থাকতে পারবো স্বপ্নেও ভাবিনি। ঘরের সঙ্গে পানির ব্যবস্থা করায় আর কোনো কষ্ট থাকলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউএনও স্যারের জন্য সারা জীবন দোয়া করবো। আল্লাহ যেন তাদের দীর্ঘ জীবন দান করেন।

মহিষখোচার আসিদা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে কাটিয়েছি। এখন সরকারি ঘর ও পানির ব্যবস্থা করায় আর কোনো কষ্ট থাকলো না।

আদিতমারী ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘জমি আছে, ঘর নেই প্রকল্প’র আওতায় আমরা ৫০টি দুস্থ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দ থেকে স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগারসহ একটি করে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। সুফলভোগী পরিবারগুলো সুপেয় পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছিল। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।