ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জামুকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২১
জামুকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের

ঢাকা: জামুকাতে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক যারা আছেন তাদের নিয়োগ অবৈধ। ৩২ বছর বয়সে অবৈধভাবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালকরা তাদের বাবা-শ্বশুরদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের নিয়োগকে বৈধ করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী অনেক রাজাকারদেরও এসব অসাধু ব্যক্তিরা মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ জামুকার চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের কাছে আবেদন নিবেদন করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

শনিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য ফোরাম।  

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা খ ম আমীর আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নবী জৌলুস, সদস্য সচিব যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতরা।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, বিগত দিনে মুক্তিযাদ্ধা বানানো হয়েছে এবং তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট হয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার অভিযোগের ফলে তাদের গেজেট বাতিল হয়েছে। কিন্তু পুনরায় চূড়ান্ত তালিকায় তাদের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বেশ কযকটি জায়গা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বিশেষ করে কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জি. গলিতে, নিউ ইস্কাটন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও কাটাবন এলাকায়। এগুলো দখলমুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য বহুবার আবেদন নিবেদন করা হলেও কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা হচ্ছে না। এসব অনিয়ম সম্ভব হয়েছে জামুকার দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে।

এ সময় অভিযোগ করে আরও বলা হয়, ঝিনাইদহ জেলার ২৪ জন রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক অধ্যায়। দীর্ঘদিন যাবৎ আবেদন নিবেদন করা হলেও এসব ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে রাজাকার সন্নিবেশিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রদের নাম অবমুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা খুব শিগগিরই হাইকোর্টের স্বরণপন্ন হতে বাধ্য হবো।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জামুকার অনিয়মে ৭১ সালে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মো. সোলাইমানের ছেলে মো. আসাদুল ইসলাম ফাতেমীকে জামুকাব সভায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটের অনুমতি দেওয়া হয়। শেখ মুজিবর রহমান নামের এক ব্যক্তির নাম জামুকা থেকে যাচাই-বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় গেজেট করার জন্য। মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাদু কর্মকর্তা উক্ত নামের সঙ্গে আরও চারজনের নাম যুক্ত করে মোট পাঁচজনের নামে অবৈধভাবে গেজেট করে দেয়।

এ সময় সংগঠনটির পক্ষে বলা হয়, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমাদের মান সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে জামুকার দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজাকারমুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংশোধন করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সর্বস্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২১
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।