বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলায় ৮ নম্বর ইউনিয়নে পার্বতী গ্রামে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে পিটিয়ে জখম করেছে এক মুদি দোকানদার।
রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেলে শামীম হাওলাদারের ছেলে স্কুলছাত্র মো. শাওন (১১) বছর বয়সী শিশুকে চুরির অভিযোগ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ নম্বর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রাম কলাতলায় ঘুরতে যায় শাওন। একটু পর কলাতলা গ্রামের বাদশা মল্লিকের (৪৫) মুদি দোকানে গিয়ে বসে শাওন। তখন দোকানদার বাদশা ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে জেগে শাওনকে দোকানের বসে থাকতে দেখে টাকা ও খাবার চুরির অভিযোগে শাওনকে বেধরক মারতে থাকে।
একপর্যায়ে শাওনের গলা পা দিয়ে চেপে ধরে এবং পেটে লাথি মারতে থাকে। এতে শাওন মলত্যাগ করে দেয়। পরে শাওনের পরিবার এসে শাওনকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্কুলছাত্র শাওনের চাচা সারোয়ার হোসেন মিন্টু বলেন, বিকেল ৫ টার দিকে টিভি দেখতে বসে শাওন। একটু পরে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বাইরে ঘুরতে বের হয়ে পাশের কলাতলা এলাকায় যায় এবং মুদি দোকানদার বাদশা মল্লিকের দোকানে বসে। তখন দোকানদার বাদশা দোকানে ঘুমাচ্ছিলো। হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে শাওনকে বসা দেখে তাৎক্ষণিক তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে স্টিলের লম্বা টর্চ লাইট দিয়ে বেধরক পেটাতে থাকে। এক পর্যায় শাওনের পেটে লাথি মারে এবং গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। এতে শাওন গুরতর আহত হয়। একটি ১১ বছরের শিশুকে যে এত নিকৃষ্ট ভাবে মারতে পারে সে কখনও মানুষ হতে পারেনা। আমরা নির্যাতনকারী দোকানদার বাদশার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বাদশা মল্লিকের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ কে এম তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মারধরের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। শিশুটির নানা সন্ধ্যার দিকে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রযোজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২১
এনটি