মেহেরপুর: মেহেরপুর গাংনীতে অভিযান চালিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৪) বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মেয়ের বাবাকে জরিমানা করা হয়।
রোববার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাথুলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে নয়ন হোসেনের (১৬) এর সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। বর ও বরযাত্রী সবাই বিয়ে বাড়িতে ছিল। এমন সময় গাড়ির শব্দ শুনেই বর ফেলে পালিয়ে যান বরযাত্রীরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়ের বাবা রাজুকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে উভয় পরিবারকে সতর্ক করা হয়। বিয়ে না করার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয় বর নয়নকে।
কাথুলী ইউনিয়নের নারী সদস্য মোছা. সুফিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নিষেধ অমান্য করে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের বাবাকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় বর ফেলে পালিয়ে গেছে বরযাত্রী।
ইউএনও মৌসুমী খানম জানান, সরকারি আইন অমান্য করে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের বাবাকে জরিমানা করা হয়েছে এবং মেয়ের বিয়ে না দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২১
এনটি