চাঁদপুর: মা মাছ সংরক্ষণে দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপনন ও বিক্রির ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে।
এদিকে ইলিশের বংশ বিস্তারে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার।
সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, রামদাসদী, লক্ষ্মীপুর, হরিণা ও আখনের হাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শত শত জেলে তাদের নৌকা উপরে উঠিয়ে জাল মেরামত কাজে ব্যস্ত আছেন।
সদরের রামদাসদী এলাকার জেলে আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মা ইলিশ দেশের ও আমাদের সম্পদ। যার কারণে সরকার অভিযান দিলে আমরা মেনে চলি। আমরা চাই ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা খুবই কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। যদিও এ সময়টাতে আমাদের বেকার থাকতে হবে এবং সংসার চলবে খুবই কষ্টে। কারণ যে ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়, তাতে কিছুই হয় না।
একই এলাকার আরকে জেলে আব্বাস খান বাংলানিউজকে বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা দু’টিই ধরা বন্ধ করতে হবে। কারণ এ বছর আমরা মেঘনায় ইলিশ পাইনি। যার কারণে এখনও অনেক ঋণগ্রস্ত।
এদিকে, বেলা ১১টায় মেঘনা নদীর মোহনায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদের নেতেৃত্বে কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এর আগে শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয় টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে. এম. ছাদিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২১
এমএমজেড