ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

হোস্টেলে ঝুলছিল চিকিৎসকের মরদেহ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
হোস্টেলে ঝুলছিল চিকিৎসকের মরদেহ  প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকার একটি হোস্টেল থেকে মাহফুজা আক্তার (২৫) নামের এক চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২-এর ৩ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর বাসার ষষ্ঠ তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মধ্যরাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

ওই চিকিৎসকের বাড়ি গাজীপুরে। তার বাবা নুর আহমেদ খান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং মা রওশন আরা গৃহিণী। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি মেঝো। তার পরিবার কদমতলী মুরাদপুরে থাকে।

এ বিষয়ে রোববার (১০ অক্টোবর) খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাবরিনা রহমান মৌরী জানান, ভবনটির মালিক এটি হোস্টেল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মাহফুজা আক্তার ওই হোস্টেলের রুমটি ভাড়া নেন। তার রুমে আরও একজন থাকতেন। তবে শনিবার তিনি গ্রামের বাড়িতে ছিলেন।

আশপাশের ভাড়াটিয়াদের বরাত দিয়ে এসআই সাবরিনা জানান, শনিবার দুপুরের পরে পাশের রুমমেটরা তাকে রুমের ভেতরে ফোনে অনেক চিৎকার করতে শোনেন। এরপর বিকেলে তার রুমের দরজা বন্ধ দেখে আশপাশের রুমমেটরা তাকে ডাকাডাকি করেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে  কর্তৃপক্ষকে জানালে সবাই মিলে রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। রুমের ভিতর লোহার হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে সেখান থেকে বিছানায় নামিয়ে রাখে।  

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তিনি রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসকের মৃত্যুর বিষয়ে তারা কিছু জানাতে পারেনি। তারা বলেছেন, মাহফুজা খুব শান্ত ও নরম স্বভাবের ছিলেন। কারও সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না। তিনি খুবই মেধাবী ছিলেন।  

মাহফুজার ভাই মেহেদি হাসান মুন্না জানান, ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করেন মাহফুজা। এরপর তিনি টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টসের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি এফসিপিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিকুঞ্জ এলাকার ওই হোস্টেলে থেকে কোচিং করছিল মাহফুজা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এজেডএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।