ভোলা: ইলিশ ধরা বন্ধ তাই বেকার হয়ে পড়েছেন ভোলার দুই লাখের বেশি জেলে। এসময় নদীর তীরে বসে জাল বুনে সময় পার করছেন তারা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার সাত দিনেও চাল পায়নি অধিকাংশ জেলে। তাদের অভিযোগ নিবন্ধিত জেলেদের চাল দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো চাল পাননি তারা।
তবে মৎস্যবিভাগ বলছে, জেলার লালমোহন এবং দৌলতখান উপজেলায় চাল বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাঁচ উপজেলায় চাল বিতরণ শুরু হবে।
ভোলা সদরের ভোলার খাল, শিবপুর, নাঝির মাঝি ও তুলাতলী ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর তীরে জাল বুনছেন জেলেরা। কেউবা ট্রলার মেরামত করছেন।
শিবপুরের জেলে তছির মাঝি বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছি। এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি তাই দিয়ে সংসার চালানোর চেষ্টা করছি।
ভেদুরিয়া গ্রামের জেলে নাছির বলেন, আমার জেলে কার্ড রয়েছে তারপরও গত বছর সরকারি চাল পাইনি, এ বছল পাবো কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। আপাতত ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছি। একই অবস্থা বিল্লাল ও কালিমুল্লা মাঝির।
তারা জানালেন, জাল বুনে সময় পার করছি, মাছ ধরা বন্ধ ছয়দিন পেরিয়ে গেছে এখনো চাল পাইনি। কবে পাবো তাও জানিনা। সংসারে অভাবে দেখা দিয়েছে।
এদিকে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে জেলেদের। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মৎস্যঘাট। ঘাটের সেই চিরচেনা দৃশ্য পাল্টে গেছে। নদীর তীরে সারি সারি নৌকা-ট্রলার নোঙর দেওয়া। জেলে পল্লিও নিরব-নিস্তব্ধ। যেসব ঘাটগুলোর জেলে, পাইকার, আড়দারদের হাঁকডাকে মুখরিত থাকতো সেসব বন্ধ।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, জেলায় এক লাখ ৩৬ হাজার জেলে নিবন্ধন করা হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ৩২ হাজার জেলে গড়ে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। যারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তাদের বাছাই করে চাল দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শনিবার (৯ অক্টোর) জেলার লালমোহন ও দৌলতখান উপজেলায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি পাঁচ উপজেলায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
আরএ