চাঁদপুর: মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ১৯ জেলেকে আটক করেছে নৌ থানা পুলিশ।
রোববার (১০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকরা হলেন- বরগুনা জেলার মো. নবিন, নোয়াখালি জেলার কামাল, সিরাজ, ভোলা জেলার কালু, হামিদ মোল্লা, চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের আক্তার ঢালী, নাজমুল হোসাইন, শাহজালাল, আমান উল্লাহ দেওয়ান, রাকিব ঢালী, আল আমিন, খোরশেদ আলম, আবদুল আজিজ, এনায়েত উল্ল্যাহ, মো. সৈয়দ মোল্লা, আমান উল্লাহ, হাইমচর উপজেলার শাকিল মিয়া, হেলাল খান ও শরিয়তপুর জেলার খোরশেদ আলম।
চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ জানায়, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমের (৪ অক্টোবর-২৫ অক্টোবর) মোট ২২ দিন সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার নৌ সীমানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ইলিশ শিকাররত অবস্থায় ৩২ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ ১৯ জেলেকে আটক করা হয়। এছাড়া ৩টি জেলে নৌকা ও ২০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ ও জালগুলো মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নৌ সীমানায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে, তার জন্য নৌ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আটক ১৯ জেলের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
জেডএ