নোয়াখালী: বিয়ের মাত্র ৫ দিন হয়েছে, এরই মধ্যে স্বামীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গভীর রাতে উধাও হয়েছেন এক নববধূ।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বানসা বানসা গ্রামের সফি উল্যা বেপারী বাড়িতে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (৮ অক্টোবর) পারিবারিকভাবে ওই বাড়ির আবদুল জলিলের মেয়ে শারমিন আক্তারের (২১) সঙ্গে একই উপজেলার হাসর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের (৩০) বিয়ে হয়। গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে শশুর বাড়িতে বেড়াতে যান সাজ্জাদ। সেখানে সাজ্জাদকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে গভীর রাতে পাশের বাড়ির এক ‘চাচার’ সঙ্গে উধাও হয়ে গেছে স্ত্রী শারমিন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, তিনি সংবাদ পেয়ে বুধবার সকালে সাজ্জাদের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে সাজ্জাদকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, বিয়ের সময় স্বামীর দেওয়া ১০ ভরি স্বর্ণাংলকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং বিদেশি ১৫ হাজার রিয়ালসহ মোট ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে শারমিন।
শারমিনের বাবা আবদুল জলিলের মুঠোফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বড় মেয়ে রুমি ফোন রিসিভ করে শারমিন পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কোথায় বা কার সঙ্গে পালিয়ে গেছে তা আমাদের জানা নেই।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে কনের পরিবার চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বরের পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
এমএমজেড