ঢাকা: রাজধানীর পৃথক স্থানে বাসের ভেতর দুই যুবক অচেতন হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বজন ও পুলিশ তাদের দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ভুক্তভোগীরা হলেন প্রবাসী ইকরাম হোসেন (২২) ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী অমিত (৩২)।
ইকরামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন অর রশিদ জানান, সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মৎস ভবনের সামনে বাস থেকে ইকরামকে উদ্ধার করা হয়।
খাজা বাবা নামে বাসটির স্টাফদের বরাত দিয়ে এসআই জানান, ইকরাম প্রথমে গুলিস্তানগামী ওই বাসে উঠেছিলেন। বাসটি গুলিস্তানে যাওয়ার পর সব যাত্রী নেমে গেলেও সিটে অচেতন অবস্থায় দেখা যায় তাকে। তখন ওই বাসটি আবার ঘুরিয়ে মিরপুরের দিকে যাওয়ার পথে মৎস ভবনের সামনে বাস থেকে তাকে নামিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তার সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট ও কোভিড-১৯ এর টিকা কার্ড থেকে তার পরিচয় জানা যায়। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে গ্রামের বাড়ি থেকে আজই ঢাকার আসে। একটি হাসপাতাল থেকে টিকা নিয়েছেও সে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে অমিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী আল ফাহাদ ও স্বজনরা জানান, তার বাসা রাজধানীর নারিন্দায়। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী। অমিত গাজিপুর গিয়েছিল। সেখান থেকে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে করে বিকেলে ঢাকায় ফিরছিল। বাসটির শেষ স্টপিজ সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছালে তাকে সিটে অচেতন হয়ে বসে থাকতে দেখে অন্য যাত্রীরা। তখন তারা অমিতের কাছে থাকা ফোন দিয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের দুই জনকেই জরুরি বিভাগ থেকে স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে। এরপর অমিতকে মিটফোর্ড হাসপাতালে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে। তবে ইকরামের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পুলিশই তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। স্বজনরা আসলে তাকে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা দুইজন অজ্ঞানপাটির খপ্পরে পরে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১, নভেম্বর ৩, ২০২১
এজেডএস/কেএআর