যশোর: জ্বালানি তেলের মূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরে ২১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে শহরের মণিহার বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকরা।
এদিকে হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প হিসেবে অনেকে ট্রেনে যাতায়াত করেছেন। তবে সেটি ছিল যুদ্ধের শামিল। রেল স্ট্রেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
জানা যায়, যশোর থেকে অন্তত ২১টি রুটে বাস চলাচল করে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অনেকে ট্রেনে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
সাইদুল নামে এক যাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ থেকে খুব কষ্টে ভেঙে ভেঙে যশোর এসেছি। যেতে হবে খুলনায়। কীভাবে গন্তব্যে যাব ভেবে পাচ্ছি না। ’
সাগর নামে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, খুলনায় চাকরির পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছি। ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবো কিনা অনিশ্চিত।
যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি অপু কাপুড়িয়া জানান, করোনার সময় চার মাস গাড়ি বন্ধ ছিল। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ, গাড়ির ট্যাক্স টোকেনের দাম বেড়েছে। সেসব কারণে শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে চায় না, আমরাও জোর করছি না।
যশোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সামান্য একটু বৃদ্ধিতে তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো ঠিক হয়নি। সরকার এ সময় তেলের দামে ভর্তুকি দিকে পারতো। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে বাসভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদে যেতে চাই না। সবকিছুরই দাম বেড়েছে, যাত্রীরাই বা এখন কীভাবে অতিরিক্ত ভাড়া গুণবে। শ্রমিকরা নিজেরাই গাড়ি চালাতে রাজি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২১
ইউজি/এমএমজেড