ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কার্তিকেই শীতের আগমনী বার্তা

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
কার্তিকেই শীতের আগমনী বার্তা ছবি: জুনায়েদ আহমেদ, বাংলানিউজ

ফরিদপুর: ভোরে ঠাণ্ডা হাওয়া, সকালে মিষ্টি রোদ আর সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। বাজারে ওঠা শীতের সবজি যেন হয়ে উঠেছে এর বার্তাবাহক।

দুর্বা ঘাসে কিংবা ধানের কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে। ভোর সকালে পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশা।

সেই সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠাণ্ডা শীত। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের মাঝামাঝিতেই শুরু হয়েছে শীত।

শনিবার (৬ নভেম্বর) ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে ফরিদপুরের গ্রামগঞ্জ ও শহরের রাস্তাঘাট। সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ভোরে অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন হালকা গরম কাপড় গায়ে মুঁড়িয়ে। আর ঘাসের ওপর ভোরের সূর্য হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দিচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। বিশেষ করে মাঠে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা গেছে বিন্দু বিন্দু শিশির।  

গ্রামগুলোতে দেখা গেছে, পুরোনো কাঁথা নতুন করে সেলাই করে নিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নারীরা। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রং-বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরি করছেন কাঁথা।

ফরিদপুরের ভাঙ্গার সোহাগ মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে দুর্বা ঘাসে শিশির দেখা যাচ্ছে। মাঠে মাঠে ফসলের ক্ষেত ভোরের হালকা কুয়াশায় ঢেকে যায়। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বাসিন্দা মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শীতের সঙ্গে সঙ্গে করোনার প্রকোপও বাড়তে পারে। তাই আমাদের অন্য বছরের থেকে এবার বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

এদিকে, গ্রাম ও শহরের হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শালগম, ওলকপি, গাজর, টমেটো।  

সবজি চাষি রহিম মোল্যা বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রারণ অফিসের উপ-পরিচালক ড. হযরত আলী বাংলানিউজকে বলেন, কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মীরা কৃষকদের কারিগরি সহায়তাসহ বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন।

ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুরুজ আলী মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন থেকে ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কার্তিক মাসের দিন যত যাচ্ছে, শীতের আগমন তত উপলব্ধি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা কম বা বেশি হওয়ার বিষয়টি আরও মাসখানেক পরে নির্ণয় করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।