ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সিএনজিচালিত বাস বন্ধ কেন? 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
সিএনজিচালিত বাস বন্ধ কেন? 

ঢাকা: অধিকাংশ সিটি সার্ভিস বাস গ্যাসে চলাচল করে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে চলা পরিবহন ধর্মঘটে সিএনজিচালিত বাস কেন বন্ধ রাখা হয়েছে, প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ এই ধর্মঘট আসলে তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ না, এটা ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা।

শনিবার (০৬ নভেম্বর) ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পথে পথে মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষা দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া রাজধানীবাসী।

গণপরিবহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মোটারসাইকেলে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দু-একটি বিআরটিসি ডাবল ডেকার বাস চললেও সেগুলোতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই।  

ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, রাজধানীর অধিকাংশ গণপরিবহনই সিএনসিচালিত। তারপরেও তারা কেন বাস বন্ধ রেখেছেন? সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কেন দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে?

সংশ্লিষ্টদের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় ধর্মঘটের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

রাজধানীর শ্যামলী থেকে বনানী এলাকায় অফিস যেতে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলেন সাইফুজ্জামান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, আমরা যারা বেসরকারি চাকরি করি তাদের শনিবারে অফিস খোলা। এরমধ্যে দেরি করে অফিস যাওয়া কিংবা অফিসে না যাওয়ার সুযোগ নেই। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও যাওয়ার মতো কিছু পাচ্ছিনা।

সিএনজি-মোটরসাইকেলে ভাড়া স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি চাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বনানীর বাসভাড়া ২০ টাকা, আর স্বাভাবিক সময় দেড়শ টাকা হলে সিএনজিতে যাওয়া যায়। আজ সিএনজিতে ভাড়া ৩৫০-৪০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এগুলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছাড়া কিছুনা।

মতিঝিল যেতেতে ইচ্ছুক রায়হান নামে একজন বলেন, অধিকাংশ সিটি সার্ভিসই গ্যাসে চলাচল করে। অথচ তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সব বাস বন্ধ করে দেওয়া হলো। আর সুযোগ পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাও দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দাবি করছে। আসলে এই ধর্মঘট তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ না, এটা ভাড়া বাড়ানোর আন্দোলন চলছে। যে যার মতো সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লুটপাট চালাচ্ছে, দেখার কেউ নেই।

ফার্মগেট এলাকায় রাতুল নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, মতিঝিল থেকে অফিসের কাজে ফার্মগেট এসেছি ৪০০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে। ১০ টাকার বাস ভাড়ার দূরত্বে সিএনজি ভাড়া দিলাম ৪০০ টাকা। সে হিসেবে প্রায় একমাসের বাসভাড়া আমার একবারেই চলে গেলো। সারাদিনের হিসাব করলে সেই খরচের পরিমানটা কোথায় দাঁড়াবে?

তিনি বলেন, ধর্মঘটের ডাকে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ, এখন জরুরি প্রয়োজনে বের বের হওয়া সাধারণ মানুষরাই বাড়তি ভাড়া দিচ্ছেন, ভাড়া বাড়ানো হলেও তা সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই যাবে। এসবে কারও কিছু যায়-আসে না। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবেন না, এসব বলেও লাভ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
পিএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।