ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নয় বছরের ফুটফুটে শিশু তানাছ ইসরাত জুঁই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা সদরের মসজিদপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও চম্পা বেগম দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে জুঁই বড়।
এদিকে মেয়ের এমন কষ্ট দেখে বুকফাটা আর্তনাদ মা-বাবার।
জুঁইয়ের বাবা জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন রিকশাচালক। আর মা চম্পা বেগম মানুষের বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। তারা মসজিদপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
জুঁইয়ের পরিবার জানায়, জুঁই আখাউড়া উপজেলা সদরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গত ৫ থেকে ৬ মাস ধরে জুঁইয়ের বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিলো। একটু হাঁটাচলা করলেই হাঁপিয়ে উঠে সে। তখন বুকে ব্যথা বেড়ে যেতো। শ্বাসকষ্ট শুরু হতো তার। সেজন্য এখন স্কুলেও যেতে পারে না জুঁই।
চম্পা বলেন, জুঁই প্রায়ই ব্যথা-ব্যথা বলে সারাদিন কাঁদতে থাকে। ব্যথা কমানোর জন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়াতাম। কয়েক মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায়- জুঁইয়ের হার্ট ছিদ্র হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট অথবা হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যেতে বলে। এরপর হৃদরোগ ও হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা দ্রুত জুঁইয়ের হার্টের অপারেশন করতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুঁইয়ের অপারেশনের জন্য ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমার স্বামীর একটি হাত ভাঙা। এ হাত নিয়েই সে রিকশা চালায়। আমার মেয়েকে বাঁচাতে সবার সহযোগীতা চাই। সবাই মিলে আমার মেয়েটাকে বাঁচান।
জুঁই জানায়, বুক ব্যথার কারণে অনেক কষ্ট হয়। ব্যথার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, খেলতেও পারি না। সে সুস্থ হয়ে আবারও স্কুলে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এনএইচআর