ঢাকা: গণপরিবহনে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া আদায়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। যাত্রীরা বলছেন, বাড়াতি ভাড়াও নিচ্ছে আবার সিটিং বাসে দাঁড়িয়েও যাত্রী নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বাসে এমন চিত্র দেখা যায়।
একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্র মো. সালমান। মিরপুর ১২ নম্বর থেকে বিকল্প পরিবহনে আসেন মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করে। বাস থেকে নামার সময় কন্ডাকটরকে দু’জনের ভাড়া দেন ১০ টাকা। কিন্তু কন্ডাকটর ২০ টাকা দাবি করেন। এ সময় ওই ছাত্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কন্ডাকটরের সঙ্গে। সালমান বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর কয় কিলোমিটার? একজনের ভাড়া ১০ টাকা দিতে হবে? কন্ডাকটর সুযোগ পেলেই বাড়তি ভাড়া নেন। তেলের দাম বাড়ায় দেখছি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
একই বাসের যাত্রী মো. আকরাম। বেসরকারি কর্মকর্তা মিরপুর ১২ নম্বর থেকে যাচ্ছিলেন মতিঝিল। ভাড়া দেওয়ার সময় সিটিং বাসে কেন দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে কন্ডাকটরের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, বুঝলাম তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। বাসের নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। কিন্তু সিটিং বাসে কেন দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে? এই অনিয়ম দেখবে কে? নিয়ন্ত্রণ করবে কে? ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে সরকারের দায়িত্ব কি শেষ, সব দায়ভার চাপিয়ে দেবে সাধারণ জনগণের ওপরে?
এর আগে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী এখন থেকে রাজধানীতে বাস যাত্রায় যাত্রীদের গুনতে হবে সর্বনিম্ন ৮ টাকা এবং মিনিবাসের জন্য গুনতে হবে ১০ টাকা। এছাড়াও দূরপাল্লার গণপরিবহনের ভাড়া ১ দশমিক ৮০ টাকা বৃদ্ধি চূড়ান্ত করেছে বিআরটিএ। রোববার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা সাত ঘণ্টাব্যাপী বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ