ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দরপত্রের মূল্য সমন্বয়ের দাবি বিএসিআইয়ের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২১
দরপত্রের মূল্য সমন্বয়ের দাবি বিএসিআইয়ের ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের দরপত্রের মূল্য সমন্বয়সহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিএসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

দাবিগুলো হলো- বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী সব সরকারি দরপত্রের রেট সিডিউল হালনাগাদ এবং প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত পানি ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত খরচ গণপূর্ত অধিদপ্তরের রেট শিডিউলে সন্নিবেশিত করা।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ মো. রফিকুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামোসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়ক হিসাবে বিএসিআইয়ের সদস্যরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ যে, নির্মাণ প্রকল্পসমূহের মূল উপকরণ রড, সিমেন্ট, পাথর, লোহা, ইট প্রভৃতির বাজার দর বাড়ছে। পাশাপাশি নতুন করে ডিজেলের ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় আমাদের পণ্য সরবরাহের খরচ আরও বেড়ে যাবে।  

নির্মাণ সামগ্রী মূল্য বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি টন রডের বর্তমান মূল্য ৭৮-৮০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ গত এক বছরে টাকার অংকে বাড়ার হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। এমতাবস্থায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রে মূল্য সমন্বয় করা জরুরি।  

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা চলমান প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না এবং নতুন কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সাহসও পাচ্ছি না। এমতাবস্থায় চলমান কাজে মূল্য সমন্বয় না করলে সব নির্মাণ কাজে স্থবিরতা দেখা দেবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এস এম খোরশেদ আলম বলেন, পরিবহন ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে অতি জরুরি বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজেলের দাম বাড়াতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাবে। সুতরাং এখন জরুরি বিষয় হচ্ছে সরকারের আইন অনুযায়ী মূল্য সমন্বয় বাস্তবায়ন করা। সরকারের পিপিআর আইনে পরিষ্কার বলা আছে মূল্য সমন্বয়ের কথা কিন্তু সরকারের কিছু কিছু দপ্তরের কর্মকর্তারা এ মূল্য সমন্বয় করে না। বরং তারা দরপত্রে নানাবিধ শর্ত জুড়ে দেয়।  

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মনে করেন আমরা যদি রডের প্রতি টন মূল্য ৫২ হাজার টাকায় একটি দরপত্রে অংশ গ্রহণ করলাম কিন্তু একমাস পর সেই রডের টন ৮২ হাজার টাকা হলে আমাদের কাজ করা অসম্ভব হয়ে যায়। তাই আমাদের দাবি আইন অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুধু মূল্য সমন্বয় নয় যদি প্রয়োজন হয় মূল্য বিয়োজনও করা হোক।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের আমলারা মনে করেন যে তারা নানাভাবে সরকারের সাশ্রয় করছেন। কিন্তু বাস্তবিক পরিস্থিতিতে সাশ্রয় তো হচ্ছেই না বরং ঠিকাদাররা দেউলিয়া হওয়ার পথে যাচ্ছেন। সুতরাং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ সঠিক সময়ে কম খরচে বাস্তবায়নের জন্য আইন অনুযায়ী মূল্য সমন্বয় জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসিআইয়ের সভাপতি সফিকুল হক তালুকদার, সহ-সভাপতি বিমল চন্দ্র রায়, সংগঠনের প্রশাসন পরিচালক হাসান মাহমুদ বাবু, গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বাবলা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতির সভাপতি এম আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।