পাথরঘাটা (বরগুনা): অল্প বয়সেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় নাজমুল হাসান ও ছবি আক্তারের মধ্যে। প্রেম থেকে গড়ায় অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে।
ওই মামলার বাদি শ্বশুর এমাদুল হক মামলায় উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মেয়ে ছবি আক্তারকে নাজমুল ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে মোটরসাইকেলে নিয়ে গিয়ে দুইদিন ধরে ধর্ষণ করেন। দুইদিন পর পাশের বাদামতলা এলাকায় রেখে যান মেয়ে ছবিকে। পরে ২০ সেপ্টেম্বর বাবা এমাদুল হক বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামাই নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন।
শাহ আলম তালুকদারসহ একাধিক প্রতিবেশী একাধিক ও নাজমুলের পরিবার জানায়, উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুলের (২০) সঙ্গে প্রতিবেশি এমাদুল হকের মেয়ে ছবির প্রেমের সম্পর্ক হয়। ছবি আক্তার নাজমুলের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসায় ওই সম্পর্কে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের মধ্যস্ততায় পারিবারিকভাবে বয়স না হওয়ায় ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে নিকাহ রেজিস্ট্রি ছাড়াই স্থানীয় মৌলভীর দ্বারা বিয়ে হয়। নাজমুলের মা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসারের দায়িত্ব পড়ে যায় স্ত্রী ছবির উপর। সংসারের কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ছবি আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বাড়িতে না আসায় নাজমুল তার স্ত্রীকে একাধিকবার আনতে গেলেও তিনি আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। ১ বছরের দাম্পত্য জীবন ইতি টানতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামাই নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন।
তারা আরও জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তাদের বিয়ে দিয়েছেন এখন তিনিই আবার মেয়ের বাবাকে দিয়ে ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য মামলা করিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধির দ্বারা আমরা সাধারণ মানুষ এটা আশা করিনি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান। ১ বছরের বেশি সংসার করে এখন উল্টো ধর্ষণ মামলা করেছে এটি হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।
স্থানীয় মৌলভ আব্দুল মান্নান মুন্সি বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে আমি বিয়ে পড়াতে চাইনি, পরে ইউপি সদস্যের নির্দেশেই ছেলে ও মেয়ের বিয়ে পড়িয়েছি।
এ বিষয়ে আব্দুর রহমান তার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে কিছুই জানেন না বলে জানালেও পরে তিনি শুনেছেন বলে জানান। স্ট্যাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেননি এবং তার এলাকায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে শুধু সেই বিষয়ে জানেন।
ওই মামলার বাদি এমাদুল হক বলেন, আমার মেয়েকে নাজমুলসহ আরও দুজন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দুইদিন পর বাদামতলা নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। নাজমুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, ওকে ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলাবোই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
এনটি