ঢাকা: পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) চার লেনে উন্নীত হবে রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ বিষয়টি কথা জানান।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে যৌথভাবে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে নিয়োগের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পে চায়না কোম্পানির বিনিয়োগ কতো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটির সাম্ভব্য ব্যয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৯০ কোটি টাকা। পুরো টাকাটাই যারা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে, তারাই বিনিয়োগ করবে। এছাড়া ২৫ বছর পর্যন্ত প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণও করবে তারাই।
বৈঠকে অপর এক প্রস্তাবে রাজউকের আওতায় শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটি পিপিপি তালিকা থেকে বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ পিপিপির তালিকা থেকে প্রস্তাবটি বাতিলের প্রস্তাব ছিল, এছাড়া গত কয়েক মাসে আপনার মাধ্যমে বেশ কিছু পিপিপির প্রস্তাব বাতিল হয়েছে, এর মধ্যে একটা পায়রা প্রকল্প আর আজ একটা, তাহলে কি দেশে পিপিপি রান করা উচিত- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ যে প্রকল্পটি আনা হয়েছে, সেটি তারাই প্রত্যাহার করে নিয়েছে, কারণ ১৫ বছর আগে যখন প্রকল্পটি নিয়ে কাজ শুরু হয়, সে সময় যে প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রকল্পটি তৈরি করা হয়, সেটি এখন বিদ্যমান নয়। আমরা রাস্তা অনেক সোজা করে দিয়েছি, আরো কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, ফলে এর ভলিয়ম কমে গেছে। তাই যেভাবে প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হয়নি। না হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তাবটি তুলে নিয়েছে।
এছাড়া আমাদের পিপিপিতে আরো অনেক প্রকল্প আছে৷ আজকের প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তুলে নিয়ে গেছে। আর একটি প্রস্তাব রেখে দিয়েছি। আশা করছি, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
তাহলে কি ফ্লাইওভার আর হবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদৌ হবে না কেন? এটাকে যদি ফরমাল ওয়েতে কম্পোনেন্টগুলো বিবেচনায় নিয়ে রিভাইজড যে প্রকল্প দাঁড়াবে, সেটি সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে। আমরা অবশ্যই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ গুরুত্ব দিয়ে আসছিলাম। আমাদের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করার জন্য, যদি বিদেশি কোনো বিনিয়োগ পাই, তাহলে আমরা আরো অনেক কিছু জানতে পারব। এ বিবেচনায় আমরা এগুলো রেখেছিলাম মূলত।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, না জেনে তো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাবে না। তারপর আবার বলব, যে প্রেক্ষাপটে আমরা প্রকল্পটি দিয়েছিলাম, সেটা এখন আর নেই।
আপনার কথা থেকে বোঝা যায় যে ফ্লাইওভারের আর দরকার নেই, তারপরও কেন আপনি বলছেন যে আবার প্রয়োজন দেখা দিলে করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ফ্লাইওভার দরকার বলতে যেভাবে আগে ছিল, সেভাবে আর লাগবে না। তবে ভিন্নভাবে লাগবে। কীভাবে লাগবে সেটা জানার জন্য আমরা বরং অপেক্ষা করি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
জিসিজি/এসআই