ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএসসিসির সংবর্ধনায় সিক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
ডিএসসিসির সংবর্ধনায় সিক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা

ঢাকা: বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সকাল থেকেই রাজধানীর বসির মিলনাতায়নে জড়ো হতে থাকে ঢাকার দক্ষিণে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধরা পৌঁছালেই তাদের হাতে ফুল ও বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা দিয়ে বরণ করে নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা ও  বিভিন্ন ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলররা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার আগেই ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সংবর্ধনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সব কাজের তদারকি করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো রকম অসম্মান না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে বললেন। ১০টা বাজতেই নিজে গেটে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের বুকে টেনে নিয়ে বরণ করতে লাগলেন।  

এরইমধ্যে অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মনিরুল ইসলাম মনু, কাজী ফিরোজ রশীদ, হাজী সেলিম, রাশেদ খান মেনন ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আপনি আওয়ামী লীগ করেন, বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন, জয় বাংলার কথা বলেন। কিন্তু আপনার ছেলে, ভাই, আত্মীয় কিংবা প্রতিবেশী জয় বাংলার কথা বলবে না, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সবাইকেই জয়বাংলার কথা বলতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবো। শেখ হাসিনা আমাদের জন্য কিনা করেছেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এটাই আমার বড় পরিচয়। আমি কোনো মেয়র না, আমি ব্যারিস্টার না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের তার প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকে একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে তাকে জাতীয় পতাকা দিয়ে বেষ্টিত করে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এটা অন্য কেউ পেতে পারে না। একমাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধাই পেতে পারে। আপনাদের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগরভবনের দরজা সব সময়ের জন্য খোলা। আপনাদের সেবায় আমরা নিয়োজিত।

বক্তব্য শেষে সব মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়। পরিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে দেশাত্মবোধক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত এবং করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের জন্য এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।