ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাবাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ লুকিয়ে রাখলো ছেলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
বাবাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ লুকিয়ে রাখলো ছেলে সেপটিক ট্যাংক

খুলনা: খুলনার রূপসায় বাবাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।

প্রায় ৭ মাস পর বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে বাবা এনামুল হক এন্তের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির (১৮) ও সহায়তাকারী জুম্মান (৪০)কে আটক করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক নিয়ামুল নিজের হাতে বাবাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তিতে নিয়ামুল জানায়, প্রায় সাত মাস আগে আনুমানিক ২৬ রমজান রাতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। রূপসা উপজেলার আইচগাতীর শোলপুর গ্রামে নিয়ামুল তার সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে মসলা বাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবা এনামুল হককে হত্যা করে। পরবর্তীতে ঐ রাতেই মরদেহ নিয়ামুল তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়।

নিহত এনামুল হক এন্তে মৃগীরোগী ছিলো। যে কারণে এলাকায় প্রচার হয় যে ভিকটিম মৃগী রোগে মারা গেছে।

রূপসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ থাকায় গলে গেছে। খবর পেয়ে নিহতের হাড়-গোড়সহ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ও তার সহায়তাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন নিয়ামুল।

জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর নিয়ামুল ইসলাম তানভির তার ছোট ভাই নাঈমকে (১১) মারধর করলে এক পর্যায়ে নাঈম চিৎকার করে তার বাবার হত্যার কথা বলতে থাকে। বিষয়টি এলাকাবাসী শুনতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। নিয়ামুল দিঘলিয়ার একটি গ্রামে আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ পলাতক আসামীদের আটক করে ও এনামুল হক এন্তের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এমআরএম/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।