ঢাকা, বুধবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

আতশবাজি ফোটানোয় ডিএমপি কমিশনারের অসহায়ত্ব প্রকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
আতশবাজি ফোটানোয় ডিএমপি কমিশনারের অসহায়ত্ব প্রকাশ

ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত বারোটার আগে থেকেই শহরের প্রায় প্রত্যেকটি এলাকাতে আতশবাজি ফুটানো শুরু করা হয়।

তবে আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে না পারার বিষয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন খোদ ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতের শেষ প্রহরে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে নিরাপত্তা ব্রিফিং চলাকালীন সময় আতশবাজি বিকট শব্দ পেয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।

নিষেধাজ্ঞা অমান্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আতশবাজি থামানোর বিষয় না। হাত দিয়ে আটকে রাখা যায় না। আতশবাজি না ফোটাতে  আমি অনুরোধ করেছি, দয়া করে আতশবাজি ফোটাবেন না। আতশবাজিতে ফোটায় একেবারে টিনেজ ছেলে মেয়ে। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, আপনার ছোট ভাই দুইটা আতশবাজি কিনে ফোটাচ্ছে। এত বেশি বিধি-নিষেধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাটাও ডিফিকাল্ট। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে নিষেধ করতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম বয়স্ক মানুষ অসুস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে এটি সীমিত রাখবেন। আমি আশা করব যারা এই আতশবাজি ফোটাচ্ছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয়

নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকে অনিরাপত্তার কিছু নেই। রাস্তায় সাংবাদিকও পুলিশ ছাড়া কেউ নেই। সব জায়গায় নিরাপত্তা আছে কোথাও কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, মানুষ বাড়িতেই তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উদযাপন করছে। তাদের সামনের বছর ভালো কাটুক এই দোয়া করি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আরেকটু ব্যাটার নগর, নিরাপদ নগর, মানুষ যেন আরও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে সামনে বছরটি কাটাতে পারে। কোভিডের এই অভিশাপ থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি। উন্নয়নের যে প্রকল্প গুলি চলছে সেগুলো কমপ্লিট হলে ট্রাফিক নিয়ে মানুষ যে বিড়ম্বনায় আছে কিছুটা সুরাহা হবে বলে আমরা আশা করছি।

সবসময় চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার জন্য। মানুষকে ভালোবেসে তার বিপদের দিনে পাশে থাকার জন্য আমরা চেষ্টা করি। সামনের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা চাই সহমর্মিতা চাই। তাদের সাথে নেই আমরা একটি নিরাপদ নগর গড়ে তুলতে চাই।

থার্টি ফার্স্টে বিধিনিষেধের কারণে যানজট তৈরির বিষয়ে কমিশনার বলেন, যানজট হবে এই আশঙ্কা থেকেই আমরা ৮ টার ভিতরে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আজকে ছুটির দিন বাইরে কাজ থাকার কথা নয়। আটটার মধ্যে ফিরে আসার সব রাস্তায় খোলা ছিল। এত বেশি রাস্তা চেক করে নিয়ন্ত্রণ করাটা আমাদের জন্য বেস্ট ডিফিকাল্ট হয়ে যায়।

আপনারা জানেন কোভিড সিচুয়েশন চলছে, আমাদের নিজেদের নিরাপত্তারটাও দেখতে হয়। আমার ফোর্সের নিরাপত্তাও দেখতে হয়। সব জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চেক করাটা এই সিচুয়েশনে বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে আমি মনে করি না।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
এসজেএ এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।