ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু: আটক ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু: আটক ১ আটক খাইরুল ইসলাম।

বগুড়া: বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি খাইরুল ইসলামকে (৪৮) আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বগুড়া র‌্যাব-১২ ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আটক খাইরুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে। তাকে মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।  

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে মামলার সাত নম্বর আসামি টিপুকে আটক করে পুলিশ।

গত ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার মালগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার ও গুলিবিদ্ধ হন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ। দীর্ঘ ৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগ বগুড়া জেলা শাখার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগের আরেক কর্মী মিনহাজ হোসেন আপেল (২৬) গুলিবিদ্ধ হন।

জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে আসছিল। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী রাসেল, রাসানী ও সুমনের নেতৃত্বে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় একটি গ্রুপ অরেঞ্জ গ্রুপের ওপর হামলা করে। এতে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ঘটনার পর দিন ৩ জানুয়ারি অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় সাত জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচজনের নামে মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রাম এলাকার একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), রাসেলের ছোট ভাই রাছানী (২৭), ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), খাইরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০), বেলতলা এলাকার মতিন শেখের ছেলে শাকিব (২২), মালগ্রাম এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিব (২৪) এবং একই এলাকার আইনুল কসাইয়ের ছেলে টিপু (২৬)। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় ৪ থেকে ৫ জনকে উল্লেখ করা হয়।

বগুড়া র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি খাইরুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।