ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘জালিমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার তথ্য-প্রমাণ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
‘জালিমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার তথ্য-প্রমাণ’ বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে ‘ছুটির ছররা’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে

ঢাকা: ছুটির দাবিতে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পোশাক শ্রমিক কাঞ্চন মিয়ার জীবনযুদ্ধ নিয়ে দৃক গবেষণা বিভাগের তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘ছুটির ছররা’ প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী শেষে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাসমন্বয়ে আলোচনায় অংশ নেন দৃকের প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, গার্মেন্ট টিউসি’র সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. মহাবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্ট শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আশুলিয়া থানার সভাপ্রধান বাবুল হোসেন, ডা. হারুনুর রশিদ, আমার শ্রম আমার লড়াই-এর সংগঠক কণক বর্মন, ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিআইজিডি’র গবেষক মাহিন সুলতানা প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু। প্রমাণ্যচিত্র বিষয়ে কথা বলেন নির্মাতা মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।

শহিদুল আলম বলেন, পরিবারের কর্তা বা কর্ত্রী যিনি আয় করেন তাকে পরিবারের সবাই ভক্তি করেন, তার সক্রিয়তা ধরে রাখার জন্য পরিবারের সবাই তার প্রতি যত্নশীল থাকে সবার স্বার্থে। আমাদের দেশের জন্য যারা আয় করেন, অর্থনীতিকে চালিয়ে রাখেন, আমাদের দেশে তারাই সবচেয়ে অবহেলিত। এয়ারপোর্টে গেলে দেখা যায় প্রবাসী শ্রমিকদের কীভাবে অবহেলা, অসম্মান করা হয়। একইভাবে আমাদের পোশাক শ্রমিক, কিষান-কিষানিরাই সবচেয়ে অবহেলিত। কাঞ্চন মিয়া তারই উদাহারণ। অন্যদিকে যারা শ্রমের ওপর বসে খায়, সবার অধিকার হরণ করে তারাই আমাদের দেশে সম্মানীত, তারাই ভিআইপি। আমাদের সংগ্রাম-লাড়াই এই ভিআইপি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।

মোশরেফ মিশু বলেন, কাঞ্চন মিয়ার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। এ লড়াই ছড়িয়ে দিতে হবে সকল শ্রমিক অঞ্চলে। আমাদের শ্রমিকদের লড়াই শুধু তার অধিকার আদায়ের জন্য নয় বরং সকল অন্যায্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে।

তথ্যচিত্রের নির্মাতা মাহতাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, জালিম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম হাতিয়ার হলো তথ্য ও প্রমাণ। শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠকরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন লড়াই করেন, অন্যায়ের সমস্ত তথ্য প্রমাণগুলো সংরক্ষণ করা এবং যথাযথ ব্যবহার আমরা যত ভালোভাবে করতে পারবো আমাদের লড়াই তত শক্তিশালী হবে।

তাসলিমা আখতার বলেন, আমাদের শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেও সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, বঞ্চিত এবং নিপীড়িত। কাঞ্চন মিয়ার জীবনের বিনিময়ে আদায় হয়েছিল শ্রমিকদের ছুটির দাবি। কারখানার ভেতরে বাইরে মালিক সরকার সবার দ্বারাই নির্যাতিত হন শ্রমিকরা। সরাসরি রাষ্ট্রের নিপীড়নের শিকার কাঞ্চন মিয়া। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজেও তার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়নি। যেতে হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে। নিপীড়ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই আমাদের সংগ্রাম। ফলে শ্রমিকের সংগ্রাম আজ সব নাগরিকের সংগ্রাম, ন্যায্যতার সংগ্রাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।